ঐতিহাসিক বদর দিবস আজ

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » ঐতিহাসিক বদর দিবস আজ
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪



ঐতিহাসিক বদর দিবস আজ

ঐতিহাসিক বদর দিবস আজ। আজকের দিনটি মুসলিম উম্মাহর কাছে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। প্রায় দেড় হাজার বছর আগে হিজরির দ্বিতীয় সনের ১৭ রমজান মদিনা থেকে প্রায় ৭০ মাইল দূরে বদর প্রান্তরে সংঘটিত হয়েছিল বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসীদের লড়াই ‘বদরযুদ্ধ’। বিশ্বমানবতার মুক্তির দূত প্রিয় নবি হজরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর নিয়ে আসা ধর্ম, ইসলামের বিরুদ্ধবাদী বিশাল সৈন্য-সামন্তের মোকাবিলায় ইমানদার বান্দাদের ছোট একটি দলের সশস্ত্র সংগ্রাম ছিল এটি।

একদিকে আল্লাহর নবির সঙ্গে মাত্র ৩১৩ জন মুজাহিদ। তারা প্রায় নিরস্ত্র। অপর পক্ষে অবিশ্বাসীদের নেতা আবু জাহেলের নেতৃত্বে এক হাজার প্রশিক্ষিত সৈন্যের সুসজ্জিত বাহিনী। এ যুদ্ধে মানুষের ধারণাপ্রসূত সব ধরনের চিন্তা ও উপলব্ধির বাইরে গিয়ে আল্লাহতায়ালা অস্ত্রশস্ত্রহীন ইমানদারের অতিক্ষুদ্র দলটিকে বিজয় দান করেন। সেদিন বদরের প্রান্তরে ইমান ও কুফর, ন্যায় ও অন্যায়ের এক নতুন ইতিহাস রচিত হয়, যা শত শত বছর ধরে এক আল্লাহতে বিশ্বাসী মুসলমানদের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে আছে। মুসলমানরা বিশ্বাস করেন, জয়-পরাজয় আল্লাহর হাতে। সম্মান ও অপমান আল্লাহর হাতে। এ বিশ্বাস ও চেতনা লালন করে পৃথিবীর যে প্রান্তে যখনই মুসলমানরা অসত্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন, তারা সংখ্যায় বা উপকরণে কম হলেও আল্লাহ তাদের বিজয় দান করেছেন। পক্ষান্তরে আল্লাহর ওপর ভরসাহীন অঢেল সম্পদ ও বিপুল সৈন্য-সামন্তে সজ্জিত মুসলমানদের পরাজয়ের বর্ণনায় ইতিহাসের পাতা ভরপুর হয়ে আছে।

বদরের যুদ্ধ শুরুর আগে আল্লাহর নবি দোয়া করেছিলেন-‘হে আল্লাহ! তুমি যদি চাও দুনিয়াতে তোমার ইবাদত করার কেউ না থাকুক, তাহলে এ ক্ষুদ্র দলটিকে নিশ্চিহ্ন হতে দাও।’ আল্লাহতায়ালা রাসূল (সা.)-এর দোয়া কবুল করেন। কুরাইশদের অহমিকা ও দম্ভ মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেন। চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন বাহ্যিক উপায়-উপকরণের তুচ্ছতা। তাই প্রায় নিরস্ত্র মুষ্টিমেয় মুজাহিদদের কাছে পরাজিত হয় সুসজ্জিত বিশাল বাহিনী। তাদের পক্ষে নিহত হয় সত্তরজন। বন্দি হয় আরও সত্তরজন। আর মুসলমানদের মধ্যে শহিদ হন মাত্র চৌদ্দজন। যুদ্ধের এ ধরনের ফলাফল ছিল সম্পূর্ণ অকল্পনীয়। কিন্তু তা ছিল মহান আল্লাহর অসীম কুদরতের প্রমাণ। তিনি স্বল্পসংখ্যক মানুষকে বিশাল বাহিনীর বিরুদ্ধে জয়ী করে দেখিয়ে দিলেন অবিশ্বাসী লোকদের প্রকৃত দুর্বলতা ও অসহায়তা। তাই বদরের যুদ্ধ ইসলামের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ যুদ্ধ।

মহানবি (সা.) মদিনায় হিজরত করে যাওয়ার দ্বিতীয় বছর সশস্ত্র যুদ্ধের অনুমতি নিয়ে হজরত জিবরাইল (আ.) কুরআন মজিদের কয়েকটি আয়াত নিয়ে আসেনÑ‘যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো হচ্ছে, তাদেরকে (যুদ্ধের) অনুমতি দেওয়া হলো এজন্য যে, তারা নির্যাতিত হয়েছে। আর আল্লাহ তাদের সাহায্য করতে সক্ষম। তাদের নিজেদের বাড়িঘর থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিল অন্যায়ভাবে শুধু এ কারণে, তারা বলে আমাদের প্রভু আল্লাহ।’ (সূরা হজ, ৩৭)।

এভাবে সশস্ত্র পন্থায় অবিশ্বাসীদের প্রতিরোধ করার অনুমতি লাভের পর আল্লাহর নবি (সা.) বদরযুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে ছিলেন। বদরের প্রান্তরে ইসলাম বিজয়ের সূচনা হয়েছিল। তাই প্রতিবছর ১৭ রমজান এলেই বিশ্ব মুসলিম শ্রদ্ধা ও গৌরবের সঙ্গে বদরের বিজয়কে স্মরণ করে। বদরের শহিদদের স্মরণ করে বিশেষ সম্মানে। আসুন! আজকের দিনে ইসলামের শান্তি, সম্প্রীতি, সাম্য ও মৈত্রির আলোকে অশান্ত পৃথিবীকে নতুন করে সাজানোর ইমানদীপ্ত শপথ গ্রহণ করি!

বাংলাদেশ সময়: ১২:৩৯:৪৮   ১২৯ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


আজকের রাশিফল
ইতিহাসের এই দিনে
সাতক্ষীরায় সীমান্ত থেকে শাড়ি, ওষুধ-সহ বিভিন্ন ভারতীয় মালামাল জব্দ
ফাহিমের জোড়া গোলে আবারও আবাহনীকে হারাল বসুন্ধরা
উন্নয়নের মাপকাঠি হওয়া উচিত কাজের গুণগত মান : ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব
চট্টগ্রাম বন্দরকে ঘিরে উৎপাদন হাব, সক্ষমতা ৬ গুণ বাড়ানোর লক্ষ্য : প্রেস সচিব
ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশ পরিচালনার সুযোগ কাজে লাগাতে হবে : প্রধান বিচারপতি
৫ মে দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, সঙ্গে থাকবেন দুই পুত্রবধূ
নিরাপদ স্থান ছাড়াই চার লাখ ২৩ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি আবারও বাস্তুচ্যুত: জাতিসংঘ
হজ পারমিট ছাড়া হজ পালন না করার অনুরোধ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ