বৈশ্বিক দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ড. ইউনূসের ভূমিকার প্রশংসা পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টের

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » বৈশ্বিক দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ড. ইউনূসের ভূমিকার প্রশংসা পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টের
মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪



বৈশ্বিক দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ড. ইউনূসের ভূমিকার প্রশংসা পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টের

পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস-হোর্তা বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্য বিমোচনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অবদানের প্রশংসা করেছেন।

তিনি বলেন, ড. ইউনূস এমন একজন ব্যক্তি যাঁর জীবন ও কর্ম প্রমাণ করে তিনি জনগণের জীবনমান উন্নয়নে কতটা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং দারিদ্র্য ও হতাশা থেকে শুধু বাংলাদেশের নয়, সারা বিশ্বের লাখ লাখ মানুষকে মুক্তির জন্য তাঁর পুরো জীবন উৎসর্গ করেছেন।

পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনে গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যক্রম এবং ড. ইউনূসের কাজ কতটা কার্যকর হয়েছে তা বিস্ময়কর।

আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস)-এর সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘সমসাময়িক বিশ্বে শান্তি বিষয়ে বিশিষ্টজনের বক্তৃতা’ শীর্ষক সেশনে বক্তৃতায় জোসে রামোস-হোর্তা এ মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশে এটি তার তৃতীয় সফর উল্লেখ করে তিনি স্মৃতিচারণ করেন যে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. ইউনূসকে তাঁর দেশে ক্ষুদ্রঋণ চালু করার জন্য ২০০৪ সালে পূর্ব তিমুরে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।

রামোস-হোর্তা বলেন, সেটিই ছিল আমার দেশে ক্ষুদ্রঋণের সূচনার প্রথম পদক্ষেপ।

পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট তার বক্তৃতায় চলমান ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, সিরিয়া সংকট, ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ ও মিয়ানমার সংঘাত, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি সংঘাত প্রতিরোধে ব্যর্থতার জন্য বিশ্ব নেতাদের দায়ী করেন।

তিনি এশিয়ার সমৃদ্ধ অঞ্চল গঠনে আসিয়ান ফোরামের ভূমিকার কথা তুলে ধরে বলেন, পূর্ব তিমুর আগামী বছরের মধ্যে এ আঞ্চলিক ফোরামে যোগ দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।

রামোস-হোর্তা রোহিঙ্গা বিষয়ে আলোচনায় এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা আনতে দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত সংকট সমাধানের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

পূর্ব তিমুরের স্বাধীনতায় তার সংগ্রামের কথা স্মরণ করে তিনি কীভাবে ইন্দোনেশিয়ার কারাগারে আট বছর বন্দী জীবন কাটিয়েছেন তা উল্লেখ করেছেন।

পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট বলেন যে তার দেশ যখন ২০০২ সালে স্বাধীনতা অর্জন করে তখন দেশের জিডিপি ছিল মাত্র ৬৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং অর্থনীতি শক্তিশালী ছিল না।

তিনি বলেন, এখন তার দেশের প্রায় ৯৭ শতাংশ এলাকা বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে এবং মানুষের গড় আয়ু ২০০২ সালের ৬০ বছরের নিচে থেকে ৭০ বছরের বেশি হয়েছে।

রামোস-হোর্তা ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারীর পরে বিশ্বব্যাপী পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ও তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং বিআইআইএসএসের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ইফতেখার আনিস।

বাংলাদেশ সময়: ২০:৫৩:০৪   ৭৫ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


উন্নয়নের মাপকাঠি হওয়া উচিত কাজের গুণগত মান : ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব
চট্টগ্রাম বন্দরকে ঘিরে উৎপাদন হাব, সক্ষমতা ৬ গুণ বাড়ানোর লক্ষ্য : প্রেস সচিব
ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশ পরিচালনার সুযোগ কাজে লাগাতে হবে : প্রধান বিচারপতি
৫ মে দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, সঙ্গে থাকবেন দুই পুত্রবধূ
নিরাপদ স্থান ছাড়াই চার লাখ ২৩ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি আবারও বাস্তুচ্যুত: জাতিসংঘ
হজ পারমিট ছাড়া হজ পালন না করার অনুরোধ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়
ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণের অভিযোগে মামলা, গ্রেপ্তার ২
আ.লীগের নিবন্ধন বাতিল ও সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করুন: নাহিদ
নাটোরে ১৮ বছরে না হওয়া কাজ ৬ মাসের মধ্যে করব : দুলু
নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চাইলেন তারেক রহমান

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ