
জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘জুলাই প্রতীকী ম্যারাথন’। শুক্রবার (১৮ জুলাই) সকাল ৭টায় জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সামনে বেলুন উড়িয়ে প্রতীকী এই ম্যারাথনের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে চাঁদমারি নতুন রাস্তা ঘুরে শহরের হাজীগঞ্জ এলাকায় জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে গিয়ে দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ ম্যারাথনটি শেষ হয়। এতে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা প্রায় ২৮০ জন অংশগ্রহণ করেন।
ম্যারাথন শেষে বিজয়ীদের হাতে মেডেল পরিয়ে দেওয়ার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানে যারা জীবন দিয়েছেন, তারা দেশ ও সমাজের বৈষম্য দূর করতে চেয়েছিলেন। আমরা যদি সেই চেতনা ধারণ করতে পারি, তাহলে শহীদদের আত্মত্যাগই হবে আমাদের প্রেরণা। শুধু স্মরণ করলেই হবে না, তাদের আদর্শ বাস্তবায়নের শপথ নিতে হবে।
একটি সিস্টেম যেখানে সকলে সমানভাবে কাজ করবে, কেউ কারও ওপর কর্তৃত্ব করবে না—এই বাংলাদেশ গড়তে পারলেই জুলাই-এর আত্মত্যাগ সফল হবে।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার সদস্য সচিব জাবেদ আলম বলেন, “এই ম্যারাথন শুধু দৌড় নয়, এটি জুলাই অভ্যুত্থানকে স্মরণ করার একটি উপায়। জুলাইয়ে আমরা লংমার্চ করেছি, আজ আমরা সেই চেতনা নতুন করে ধারণ করছি।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মুবিন বলেন, “এ ধরনের আয়োজনে অংশ নিয়ে খুব ভালো লেগেছে। আশা করি প্রতিবছরই এই আয়োজন হবে এবং জুলাইয়ের আবেগ ও ইতিহাস হারিয়ে যাবে না।”
প্রতীকী মিনি ম্যারাথনে আরও উপস্থিত ছিলেন— জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আলমগীর হুসাইন, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. তামশিদ ইরাম খান, জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক হাসিনা মমতাজ, জামায়াতে ইসলামী মহানগরের সাবেক আমীর মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমাদ, সহ-সেক্রেটারি নাসির উদ্দিন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক ফারদিন শেখ।
জেলা প্রশাসন ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যৌথ আয়োজনে এই প্রতীকী মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২:১৩:৫২ ২৩ বার পঠিত