
জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দালাল ও মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভদের (প্রতিনিধি) দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।
হাসপাতালের একমাত্র এই চিকিৎসাকেন্দ্রটিতে একদিকে যেমন চিকিৎসকস্বল্পতা রয়েছে, অন্যদিকে তেমনি দালাল ও রিপ্রেজেনটেটিভদের কারণে চিকিৎসার পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে।
জানা গেছে, ৫০ শয্যার এই হাসপাতালটিতে মোট ৩৪ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে আছেন মাত্র ১৭ জন। অভিযোগ রয়েছে, অনেক চিকিৎসক সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এসে হাজিরা দিয়ে ১২টার মধ্যেই চলে যান। তারা হাসপাতালের বাইরে বিভিন্ন ক্লিনিকে রোগী দেখেন।
হাসপাতালের বহির্বিভাগে দিনের বেলায় ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা ভিড় করেন। রোগীদের দীর্ঘ সারি থাকলেও তারা প্রায়ই ডাক্তারদের কক্ষে ঢুকে পড়েন। রোগী কক্ষ থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের প্রেসক্রিপশনের ছবি তোলেন, যা রোগীদের জন্য বিড়ম্বনার কারণ হয়। যদিও সপ্তাহের সোম ও বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত তাদের জন্য নির্দিষ্ট সময় নির্ধারিত আছে, তবুও তারা এই নিয়ম মানেন না।
রাতে দালালদের আধিপত্য আরও বেড়ে যায়। তারা নিজেদের হাসপাতালের স্টাফ পরিচয় দিয়ে রোগীদের কাছ থেকে প্রেসক্রিপশন নিয়ে নেয়। নির্দিষ্ট ফার্মেসি থেকে বেশি দামে ওষুধ কিনে এনে রোগীদের কাছ থেকে বড় অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। এছাড়া, তারা রোগীদের বাইরের ক্লিনিকে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার জন্যও প্ররোচিত করে। এই দালালদের সঙ্গে হাসপাতালের কিছু বয় ও আয়ার যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে হাসপাতালের দায়িত্বরত কর্মকর্তা ডাক্তার এম. এ. আবু তাহের বলেন, দালালদের পেলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া আছে। তবে রোগী ও তাদের স্বজনদের অভিযোগ, এই সমস্যা সমাধানের জন্য পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। এর ফলে ইসলামপুরের দরিদ্র রোগীরা সুষ্ঠু চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:০১:৪৬ ১৮ বার পঠিত