
গত রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে রেকর্ড নবমবারের মতো এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছে ভারত। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে আগে ব্যাট করে পাকিস্তান ১৯.১ ওভারে ১৪৬ রানে অলআউট হয়। জবাবে তিলক ভার্মা ও শিভম দুবের দারুণ ব্যাটিংয়ে ২ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারত।
এবারের আসরে ভারতের কাছে এটি পাকিস্তানের টানা তৃতীয় হার। আগের দুই ম্যাচে ভারত একপেশে জয় পেলেও ফাইনালে দারুণ লড়াই করেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের দেয়া ১৪৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারত শুরুতেই ধাক্কা খায়। অভিষেক শর্মা (৫), সূর্যকুমার যাদব (১) ও শুভমান গিল (১২) চার ওভারের মধ্যেই আউট হয়ে যান। তখন ভারতের স্কোর ছিল মাত্র ২০।
তবে, তিলক ভার্মা (৫৩ বলে অপরাজিত ৬৯) সঞ্জু স্যামসনের (২৪) সঙ্গে জুটি গড়ে দলকে চাঙ্গা করেন। তারা মিলে ৫০ বলে ৫৭ রান যোগ করেন। ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে আবরার আহমেদ স্যামসনকে আউট করেন।
স্যামসনের বিদায়ের পর তিলক বর্মা ও শিভম দুবে (২২ বলে ৩৩) ৪০ বলে ৬০ রানের জুটি গড়ে পাকিস্তানকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন। শেষ পর্যন্ত রিঙ্কু সিং হারিস রউফের (৩.৪ ওভারে ৫০ রান, উইকেটহীন) ওভারের চতুর্থ বলে জয়ের রান তুলে দেন।
এর আগে বল হাতে পাকিস্তানকে অল্প রানেই আটকে রাখতে কুলদীপ যাদব ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন। জসপ্রিত বুমরাহ, অক্ষর প্যাটেল ও বরুণ চক্রবর্তী প্রত্যেকে ২টি করে উইকেট নেন।
এশিয়া কাপ জয়ের পর ভারতীয় দল ও সাপোর্ট স্টাফদের জন্য ২১ কোটি রুপি পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছে ভারতের ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই। তবে বিসিসিআই পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়ার পাশাপাশি পাকিস্তানকে বিদ্রূপও করেছে—’৩-০’ খোঁচার মাধ্যমে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পুরস্কারের ঘোষণা দিতে গিয়ে বিসিসিআই পাকিস্তানকে টানা তিনবার হারানোর কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। এই পুরস্কারের বাইরেও এসিসি থেকে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে মোটা অঙ্কের অর্থ পাচ্ছে ভারত।
উল্লেখ্য, এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ভারতীয় দল এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এএসি) কাছ থেকে ৩ লাখ মার্কিন ডলার (প্রায় ২.৬ কোটি রুপি) পাবে। এ অর্থ পুরস্কার হিসেবে পূর্ববর্তী আসরগুলোর তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। ২০২৩ সালের আসরে ভারত ২.৫ লাখ ডলার এবং ২০২২ সালে ২ লাখ ডলার পেয়েছিল। রানার্সআপ পাকিস্তানও খালি হাতে ফিরছে না; ফাইনালিস্ট হিসেবে তারা ১.৫ লাখ মার্কিন ডলার (প্রায় ১.৩ কোটি রুপি) পাবে। যদিও এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এসিসি পুরস্কারের বিষয়টি ঘোষণা করেনি।
দলীয় পুরস্কারের পাশাপাশি এশিয়া কাপে ব্যক্তিগত পুরস্কারের অর্থও বেশ আকর্ষণীয়। ম্যাচসেরা এবং টুর্নামেন্টসেরা খেলোয়াড়কে বড় অঙ্কের নগদ অর্থ দেওয়া হয়েছে।
এই আসরে অভিষেক শর্মা ভারতের হয়ে সবগুলো ম্যাচ খেলে এবং ৩২টি চার ও ১৯টি ছক্কার সাহায্যে মোট ৩১৪ রান করেছেন। সুপার ফোরের তিনটি ম্যাচেই তিনি হাফ-সেঞ্চুরি করেন। সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার এই বাঁহাতির হাতেই উঠেছে।
অন্যদিকে কুলদীপ সাত ম্যাচে মোট ১৭ উইকেট নেন। ফাইনালে তিনি লাসিথ মালিঙ্গার রেকর্ড ভেঙে এশিয়া কাপে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হন এবং একই সঙ্গে আজন্তা মেন্ডিসের এক আসরে সর্বাধিক উইকেট নেওয়ার রেকর্ডও স্পর্শ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:২২:৩১ ৫৪ বার পঠিত