
মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী লাঙ্কাউই উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকা ডুবে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে। মালয়েশিয়ান মেরিটাইম এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি (এমএমইএ) ও অন্যান্য সংস্থা নিখোঁজদের উদ্ধারে যৌথ তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
গত ৬ নভেম্বর রাতে নৌকাডিুবির এই ঘটনা ঘটে। ডুবে যাওয়া নৌকাটিতে মিয়ানমার, বাংলাদেশ ও রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রায় ৯০ জন কাগজপত্রবিহীন অভিবাসী ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
এমএমইএ জানিয়েছে, রোববার সাতজনের মরদেহ উদ্ধার ও ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধারের পর সোমবার অনুসন্ধান ক্ষেত্র বাড়িয়ে ২৫৫ দশমিক ৬৬ বর্গ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত করা হয়েছে। উদ্ধার অভিযানে সংস্থাটির পাঁচটি জাহাজ, একটি বিমানসহ রয়্যাল মালয়েশিয়ান নেভি, মেরিন পুলিশ, মৎস্য বিভাগ, দমকল ও সিভিল ডিফেন্স ফোর্স অংশ নিচ্ছে।
রোববার সন্ধ্যায় প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে অভিযান সাময়িকভাবে স্থগিত করা হলেও সোমবার সকালে তা পুনরায় শুরু করা হয়। উদ্ধার হওয়া নিহতদের মধ্যে এক শিশুও রয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় এক মাস আগে মিয়ানমারের বুথিডাং এলাকা থেকে প্রায় ৩০০ জন যাত্রী একটি বড় জাহাজে (মাদার ভেসেল) চড়ে মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
থাইল্যান্ডের জলসীমা অতিক্রমের পর পাচারকারী চক্র যাত্রীদের তিনটি ছোট নৌকায় ভাগ করে দেয়। এর মধ্যে একটি নৌকা ডুবে গেলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:০০:৪৫ ৬ বার পঠিত