
ইরানের সংসদের স্পিকার মোহাম্মদ বাকের গালিবাফ দাবি করেছেন, গত জুন মাসে ১২ দিনের আগ্রাসনে ইসরাইলি শাসকগোষ্ঠী শাস্তি পেয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা ছাড়া তারা ইরানের বিরুদ্ধে এক সপ্তাহও যুদ্ধ টিকিয়ে রাখতে পারবে না।
এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম মেহর নিউজ।
শুক্রবার ইমাম খোমেনি সমাধিস্থলে বসিজ স্বেচ্ছাসেবী বাহিনীর এক সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে গালিবাফ বলেন, জুনে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র যে ১২ দিনের যুদ্ধ শুরু করেছিল, সেই প্রেক্ষাপটে ইরানের শক্তি শুধু ক্ষেপণাস্ত্র থেকে আসে না; বরং জনগণের ব্যাপক সমর্থনই দেশকে শক্তিশালী করে।
তিনি বলেন, ‘যদি মানুষের হৃদয় আমাদের সঙ্গে থাকে, আমরা বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ। কিন্তু যদি তারা সঙ্গে না থাকে, তবে আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলাও যুদ্ধের সময়ের মতো কার্যকর হবে না।’
গালিবাফ দাবি করেন, ইরানি জনগণ এবং তাদের সশস্ত্র বাহিনীর হাতে ইসরাইলি শাসকগোষ্ঠী ও তাদের মার্কিন সমর্থকরা যুদ্ধে পরাজিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রথম দিনে যে ক্ষতি হয়েছিল, তা ছাড়া যুদ্ধের ছয়দিনে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট (জেডি ভ্যান্স) ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে সংঘাত থামানোর জন্য আলোচনার চেষ্টা করছিলেন।’
গালিবাফ যোগ করেন, ‘শত্রু সামরিক শক্তি নিয়ে আক্রমণ করেছিল, আর আমরাও সামরিক শক্তি দিয়ে তাকে সতর্ক করেছি এবং শাস্তি দিয়েছি।’
তিনি বলেন, জায়নিস্ট শাসকগোষ্ঠী যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সমর্থন ছাড়া ইরানের সঙ্গে এক সপ্তাহের বেশি যুদ্ধ চালাতে পারে না। ‘যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সহায়তায়ই তারা কয়েকদিন টিকে ছিল,’ মন্তব্য করেন তিনি।
১২ দিনের যুদ্ধে ব্যর্থতার পরও শত্রুপক্ষ ইরানের বিরুদ্ধে নানা রূপে শত্রুতা অব্যাহত রেখেছে উল্লেখ করে গালিবাফ বলেন, তারা মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধসহ বিভিন্ন কৌশলে জনগণকে ইসলামি ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে।
সংসদ স্পিকার আরও জোর দিয়ে বলেন, জনগণকে ইসলামি প্রতিষ্ঠানের পাশে রাখা—শত্রুকে মোকাবিলায় ধারাবাহিক সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৫০:৩৫ ১১ বার পঠিত