
ম্যাচ শুরুর দশ মিনিট যা যেতেই বার্সেলোনার গোল হজম। রিয়াল বেতিসের মাঠে অঘটনের গন্ধই পাওয়া যাচ্ছিল। কিন্তু ফেরান তরেস আর তা হতে দিলেন কই! প্রথমার্ধেই হ্যাটট্রিক করে বসলেন বার্সার এই স্প্যানিয়ার্ড। সেই সঙ্গে রুনি বার্দগির গোলে প্রথমার্ধেই চার গোলের দেখা পায় কাতালান জায়ান্টরা। দ্বিতীয়ার্ধে পেনাল্টি থেকে আরও এক গোল করে জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলে তারা। স্বাগতিকরা শেষদিকে দুই গোলে করলেও তাতে শুধু হারের ব্যবধান কমেছে।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) এস্তাদিও দে লা কারতুজায় স্বাগতিক রিয়াল বেতিসকে ৫-৩ গোলে হারিয়েছে সফরকারী বার্সেলোনা। বার্সার হয়ে হ্যাটট্রিক করেছেন ফেরান তরেস। বাকি গোল দুটি রুনি বার্গদি ও লামিনে ইয়ামালের।
বেতিসের পক্ষে অ্যান্টনি, দিয়েগো ইয়োরেন্তে এবং ছুঁচো হার্নান্দেজ গোল করেন।
এই জয়ে ১৬ ম্যাচে ১৩ জয় ও ১ ড্রয়ে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান সুসংহত করল বার্সেলোনা। এক ম্যাচ বেশি খেলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে ৪ পয়েন্ট এগিয়ে গেল তারা। ১৫ ম্যাচে ১১ জয় ও ৩ ড্রয়ে ৩৬ পয়েন্ট রিয়ালের।
১৫ ম্যাচে ৬টি করে জয় ও ড্রয়ে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে বেতিস।
বল দখলে এগিয়ে থাকলেও শট নেয়ায় পিছিয়ে ছিল বার্সা। ১৬টি শটের ৮টি লক্ষ্যে রাখতে পেরেছে হ্যান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। পেল্লেগ্রিনির শিষ্যরা ১৭টি শট নিয়ে ৫টি লক্ষ্যে রেখেছে।
ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই বার্সাকে চমকে দেয় বেতিস। গোল করে স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন অ্যান্টনি। চলতি মৌসুমে ১০ ম্যাচে ৫ গোল ও ১ অ্যাসিস্ট হলো এই ব্রাজিলিয়ানের।
তবে জবাব দিতে সময় নেয়নি সফরকারীরা। ১১ ও ১৩ মিনিটের মাথায় দুইবার বল জালে পাঠান তরেস। ৩১ মিনিটে বার্সার পক্ষে তৃতীয় গোলটি করেন দারুণ খেলতে থাকা বার্গদি। পেদ্রির থ্রু বল ধরে প্রতিপক্ষের একজনের বাধা এড়িয়ে বক্সে ঢুকে জোরাল শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ২০ বছর বয়সী উইঙ্গার।
৪০ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন তরেস। বক্সের বাইরে থেকে এই স্প্যানিয়ার্ডের নেয়া শট প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে দিক বদলে জালে ঢুকে যায়।
তরেসের ক্যারিয়ারের এটি তৃতীয় হ্যাটট্রিক, বার্সার জার্সিতে দ্বিতীয়। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে বেতিসের বিপক্ষেই ৪-২ গোলের জয়ে হ্যাটট্রিক করেছিলেন সিটির এই সাবেক তারকা।
৫৯ মিনিটে বার্সার পক্ষে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ভিএআর দেখে পেনাল্টি দেন তিনি, যদিও বেতিসের খেলোয়াড়রা প্রতিবাদ জানিয়েছিল। ডি-বক্সের ভেতরে রাশফোর্ডের শট মার্ক বার্ত্রার পায়ে লেগে হাতে লাগে।
স্পটকিক থেকে গোল করে ব্যবধান বাড়ান ইয়ামাল। ৮৫ মিনিটে ব্যবধান কমান ইয়োরেন্তে। আর নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে স্পটকিক থেকে বেতিসের তৃতীয় গোলটি করেন চুচু ফার্নান্দেজ।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৪৬:২৫ ১০ বার পঠিত