
অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, আমরা যদি নিরাপদ না থাকি এই দেশে আমাদের শত্রুরাও নিরাপদ থাকতে পারবে না। যারা ভারতের এবং ভিনদেশিদের স্বার্থ রক্ষা করবে, তাদের নিরাপদ থাকতে দেওয়া যাবে না। এটা হচ্ছে বেসিক কন্ডিশন।
আজ সোমবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ইনকিলাব মঞ্চ আয়োজিত সংগঠনটির মুখপাত্র ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদ এবং হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আয়োজিত সর্বদলীয় প্রতিরোধ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশে বিএনপি, জামায়াত, গণঅধিকার পরিষদ, এবি পার্টি ও ইসলামী আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
মাহফুজ আলম বলেন, আমরা এই দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক লড়াইকে, রাজনৈতিক দ্বন্ধকে এই দেশের ভেতরেই মোকাবেলা করব। আমরা হুশিয়ারি করে দিতে চাই, এই দেশের লড়াইকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া হলে এই দেশের মুক্তির লড়াইও এই দেশের বাইরে যাবে।
ওসমান হাদির লড়াই প্রসঙ্গে মাহফুজ বলেন, ওসমান হাদি দেশের ভেতর সক্রিয় ইনভিজিবল ভিনদেশী অ্যাসেটদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন। বাংলাদেশের অ্যাসেট আর ভিনদেশি অ্যাসেটরা তাকে মারার যুক্তি উৎপাদন করেছে। তাকে যখন মারা হয়েছে, তখন সবাই নীরব হয়ে বসে রয়েছে।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর আমাদের হাতে এই মুজিববাদীদের, এই আওয়ামী লীগ, এই ১৪ দলীয় সন্ত্রাসীদের প্রত্যেকটি বাড়ি চুরমার করে দেওয়ার ক্ষমতা ছিল, সেদিন আমরা নিজেদেরকে সংবরণ করেছিলাম বলে আজকে তারা এ সাহস করতে পারছে। আমরা ক্ষমা করে যদি ভুল করে থাকি, তাহলে আমরা প্রতিজ্ঞা করব আমরা আর ক্ষমা করব না।
মাহফুজ আলম জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পক্ষের শিক্ষক, আইনজীবী, গণমাধ্যমকর্মী ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে জুলাইয়ের বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, জুলাইয়ের শক্তি যদি গঠনমূলকভাবে গঠনমূলকভাবে শক্তিশালী হয়ে ওঠে, তাহলে আমরা অভ্যন্তরীণ সংকট এবং আমাদের চারপাশের চাপ—দুটোই মোকাবিলা করতে পারব।
সাংস্কৃতিক প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের মতো জেলায় জেলায় সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড শুরু করুন। যারা সাংস্কৃতিকভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কাজ করছে, তাদেরকে সাংস্কৃতিকভাবে প্রতিহত করুন।
বাংলাদেশ সময়: ২২:২৮:৪৪ ৮ বার পঠিত