
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট যথাসময়ে চায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দলটির পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়। সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান দলটির মূখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
এ সময় তিনি বলেন, ‘দেশের এই অস্থীতিশীল পরিস্থিতির মধ্যেই ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।
আমরা জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে বলেছি, যাতে এই ঘোষিত তারিখেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তারিখ যেন পেছানো না হয়। নির্বাচনটা যেন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হয়। কারণ আওয়ামী লীগ এবং ভারত বিভিন্নভাবে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে নির্বাচন পিছানোর চেষ্টা করতেছে।
তিনি আরো বলেন, ‘গণভোট নিয়ে আমরা এই পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন থেকে কোনো দৃশ্যমান কিছু দেখি নাই। তারা বলেছেন এটা নিয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় আছে তারা কাজ করছেন। কিন্তু জনগণ গণভোট নিয়ে এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন থেকে কোনো জনসচেতনতা মূলক কাজ পায়নি। আমরা সিইসিকে বলেছি এই নির্বাচন যেমন জাতীয় সংসদ নির্বাচন তেমন সংস্কারের জন্য গণভোটে হ্যা জিতিয়ে আনাও গুরুত্বপূর্ণ।
যাতে বাংলাদেশের একটি স্থিতিশীল জায়গায় যেতে পারে।’
সেনাবাহিনীর ওপরে এনসিপি আস্থা রাখতে চায় মন্তব্য করে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘দেশপ্রেমিক বাহিনীর ওপরে আমরা আস্থা রাখতে চাচ্ছি। কিন্তু সামগ্রিকভাবে আমরা বিভিন্ন জায়গায় বিশৃঙ্খলা দেখতে পাচ্ছি।’
সুষ্ঠু ভোট আয়োজনে ইসির প্রতি আস্থা রয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনে কিছু বিশৃঙ্খলা রয়েছে। এখানে ফ্যাসিবাদের অনেক দোসর রয়েছে।
নির্বাচনটা আয়োজন করবে নির্বাচন কমিশনই। আমরা বিভিন্ন জায়গায় বিশৃঙ্খলা দেখতে পাচ্ছি। আমরা সেগুলো রিপোর্ট করেছি। আমরা বলেছি আঞ্চলিক অফিসগুলো যদি সক্রিয় করা যায়, তাহলে ১২ তারিখে ইলেকশনটা সুন্দরভাবে করা সম্ভব।’
১২ ফেব্রুয়ারি ভোট নিয়ে কোনো সন্দেহ আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, ‘আশঙ্কা তো বাংলাদেশে রয়েছে, কিন্তু সেই আশঙ্কাটা মানিয়ে আমরা বারংবার নির্বাচন কমিশনের কাছে বলেছি যাতে ফেব্রুয়ারি ১২ তারিখে নির্বাচনটা করা যায়। নির্বাচন কমিশন যেন কোনো ছোট ভুল না করে, যাতে তারিখ পিছিয়ে না যায়। আমরা আজকে অনুরোধ জানিয়েছি মনোনয়নের যে তারিখগুলো আছে সেগুলো পুনঃবিবেচনা করা যায় কিনা।’
এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘কালকে একটি (বিএনপির) সমাবেশ হতে চলছে। ৩ জানুয়ারি আরেকটি কর্মসূচি রয়েছে। হাদির হত্যার কর্মসূচি চলছে। প্রবাসীরা যাতে আরো বেশি করে নিবন্ধন করতে পারে সে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’
তিনি বলেন, ‘ভোট নিয়ে উদ্বেগ আছে। একজন সম্ভাব্য প্রার্থী ইতিমধ্যে হত্যা হয়েছে। সকল দলের প্রার্থী যেন নিরাপত্তা পায় সেটা বলেছি। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছে নিরাপত্তার চাদর আরো বাড়াবেন। তারা নিরাপত্তা দেবেন যাতে হাদির মতো কেউ হত্যার শিকার না হয়। হাদি হত্যায় আওয়ামী লীগের অনেকের সংশ্লিষ্টতার নাম আছে।’
পাটওয়ারী বলেন, ‘আমরা অন্য কেনো প্রতীকে ভোট করব না। নির্বাচনী সমাঝতা করছি। তবে আমরা শাপলা কলি প্রতীকে নির্বাচন করব। অন্য দলের প্রতি আহ্বান করব নিজস্ব স্বকীয়তা বিকিয়ে দেবেন না। আজকে হয়তো সুযোগ নেই, ভবিষ্যতে সুযোগ আসবে।’
এ সময় এনসিপি যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:১৪:২৫ ৫ বার পঠিত