তিন সপ্তাহে পৌনে দুই বিলিয়ন ডলার কমলো রিজার্ভ

প্রথম পাতা » অর্থনীতি » তিন সপ্তাহে পৌনে দুই বিলিয়ন ডলার কমলো রিজার্ভ
রবিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৪



তিন সপ্তাহে পৌনে দুই বিলিয়ন ডলার কমলো রিজার্ভ

দেশে ডলার সংকট চলছে দীর্ঘদিন। এ সংকট উত্তরণের অন্যতম উপায় রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বাড়ানো। কিন্তু সেখানে নেই আশানুরূপ সুসংবাদ। অন্যদিকে আমদানির চাহিদা অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রা না থাকায় প্রতিদিনই ডলার বি‌ক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফ‌লে ধারাবাহিকভাবে কমছে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন বলছে, গত তিন সপ্তাহে রিজার্ভ কমে গেছে প্রায় পৌনে দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩ জানুয়ারি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার। সংকটের কারণে ডলার বিক্রি অব্যাহত থাকায় ২৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রোস রিজার্ভ দাঁড়ায় ২ হাজার ৫২৩ কোটি ডলার। অর্থাৎ এই ২১ দিনে ১৭৭ কোটি কমে গেছে রিজার্ভ। বিপিএম-৬ অনুযায়ী ৩ জানুয়ারি রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ১৭৫ কোটি ডলার, যা ২৪ জানুয়ারি কমে দাঁড়ায় ২ হাজার ২ কোটি ডলার। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী বিপিএম-৬ ম্যাথোডের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবের সঙ্গে ৫২১ কোটি (৫.২১ বিলিয়ন) ডলারের পার্থক্য রয়েছে।

এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব আছে, যা শুধুমাত্র আইএমএফকে দেওয়া হয়; প্রকাশ করা হয় না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই হিসাবে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৬ বিলিয়ন ডলারের নিচে। প্রতি মাসে প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার হিসেবে এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো কষ্টসাধ্য হবে বাংলাদেশের জন্য। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ এখন শেষ প্রান্তে রয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সংকটের কারণে রিজার্ভ থেকে বাজারে প্রচুর ডলার বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া এ মাসে আকুর বিলও পরিশোধ হয়েছে। রপ্তানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহ কম থাকায় রিজার্ভ কমছে।

উল্লেখ্য, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরুতে গ্রোস রিজার্ভ ছিল ২৯.৭৩ বিলিয়ন ডলার আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী ছিল ২৩ দশমকি ৩৭ বিলিয়ন ডলার। মূলত, বাজারে ডলার সংকট কাটাতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ থেকে ধারাবাহিকভাবে ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একই সময়ে বাণিজ্যিক কিছু ব্যাংক থেকে এক বিলিয়ন ডলারের মতো কেনে বাংলাদেশ ব্যাংক, যার পরিমাণ ১ বিলিয়ন ডলারের মতো।

২০২২-২৩ অর্থবছরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে ১৩ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছিল। তার আগের অর্থবছরে ( ২০২১-২২) ডলার বিক্রি করেছিল ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ সময়: ১৭:১৮:৫২   ১৯৮ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

অর্থনীতি’র আরও খবর


বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে অনুদান দিলো জিপিএইচ ইস্পাত
রাশিয়ার মান সংস্থার সঙ্গে বিএসটিআই’র সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
৫ যুগ্ম কমিশনারসহ এনবিআরের ৮ কর কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত
মোংলা বন্দরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪১ কোটি টাকা বেশি নীট মুনাফা অর্জন
শুধু আইএমএফ-বিশ্ব ব্যাংক নয়, সরকারের উদ্যোগেও সংস্কার হচ্ছে : অর্থ উপদেষ্টা
শুল্ক কমানো নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা ফলপ্রসূ হবে : অর্থ উপদেষ্টা
দুদককে চিঠি দেয়ার বিষয়টি ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে: আহমদ তৈয়্যব
পাট খাতের উন্নয়নে ‘সাসটেইনেবল মার্কেট এক্সেস বুটক্যাম্প’ কর্মসূচি শুরু
এসএমই খাতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর তাগিদ অর্থ উপদেষ্টার
আরএমজি খাতের টেকসই উন্নয়ন নিয়ে বিডা-বেজা প্রধানের সঙ্গে বিজিএমইএ’র বৈঠক

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ