রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনালের কথা বললে কিলিয়ান এমবাপ্পের প্রসঙ্গ আসতে বাধ্য। ফাইনালে গোল করে আলাদা নজর কেড়েছিলেন এই ফরোয়ার্ড। উঠতি ফরোয়ার্ড বিধায় ফরাসিদের মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে স্থান পান তিনিই। কিন্তু যারা ওই আসরে ফ্রান্সের প্রতিটি ম্যাচ দেখেছেন, তারা নিশ্চয়ই মানতে বাধ্য হবেন যে, অ্যান্তোনিও গ্রিজম্যানের অবদানও কোনো অংশে কম নয়।
অনেকটা পর্দার আড়ালের লোকের মতো অবস্থা গ্রিজম্যানের। ফ্রান্স দলের কেন্দ্রে থেকে ম্যাচের সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি, ছিলেন মূল পেনাল্টিটেকার। রাশিয়া বিশ্বকাপে যেন আরও দূতিময় হয় তার পারফরম্যান্স। ওই আসরে কিলিয়ান এমবাপ্পের সমান ৪টি গোল করেন তিনি, অ্যাসিস্ট ২টি। ফলস্বরূপ বিশ্বকাপ জিতে ব্রোঞ্জ অ্যাওয়ার্ডও পান।
ফ্রান্সের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জয়ের এই নায়ক জাতীয় দলকে বিদায় বলেছেন। নীল জার্সিতে আর দেখা যাবে না তাকে। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সোশ্যাল মিডিয়ায় অবসরের ঘোষণা দেন তিনি। ঘোষণায় ৩৩ বছর বয়সি মিডফিল্ডার বলেছেন, ‘দারুণ এই অধ্যায়ের সব স্মৃতির জন্য ধন্যবাদ। এখন বিদায় বলার সময়।’
২০১৪ সালে জাতীয় দলে অভিষেকের পর ওই বছরই বিশ্বকাপ খেলেন গ্রিজম্যান। ওই আসরে ফ্রান্স বাদ পড়ে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে। দুই বছর পর ফ্রান্সের হয়ে ইউরোর ফাইনালে খেলেন, কিন্তু ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর্তুগালের কাছে হেরে যায় তার দল। রাশিয়ায় গিয়ে সাফল্য পায় ফ্রান্স, জিতে বিশ্বকাপ। ২০২০-২১ সালে ফ্রান্সের হয়ে নেশন্স লিগের শিরোপা জিতেন গ্রিজম্যান। কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালেও উঠে তার দল। কিন্তু আর্জেন্টিনার সঙ্গে চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচশেষে শিরোপা হাতছাড়া হয়।
ফ্রান্সের হয়ে গ্রিজম্যান সবশেষ ম্যাচটি খেলেছেন এ মাসের শুরুর দিকে, বেলজিয়ামের বিপক্ষে নেশন্স লিগের ওই ম্যাচটিই শেষ হয়ে রইল তার। ১৪ বছরের ক্যারিয়ারে জাতীয় দলের হয়ে ১৩৭ ম্যাচে ৪৪ গোল ও ৩৮ অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:০১:২৮ ১৭ বার পঠিত