
দেশে প্রতিবছর বছর সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়াদের মধ্যে ৫০ শতাংশ পথচারী, সাইকেল ও মোটরসাইকেল আরোহী। দুর্ঘটনারোধে প্রয়োজন ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।
আজ রোববার ৮ম ইউএন গ্লোবাল রোড সেফটি উইক উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডিতে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রধান কার্যালয়ের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘ইয়ুথ ক্যাম্পেইন’ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপনকালে একথা বলেন মিশনের রোড সেফটি প্রকল্প সমন্বয়কারী শারমিন রহমান।
বিশ্বজুড়ে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সড়কে অকালমৃত্যু কমিয়ে আনার লক্ষ্যে জাতিসংঘ প্রতি দু’বছর পর সড়ক নিরাপত্তা সপ্তাহ পালন করে থাকে। এবার সপ্তাহের প্রতিপাদ্য ‘জীবনের জন্য সড়ক : হাঁটা ও সাইকেল চালানো নিরাপদ করা’।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ঢাকা পরিবহণ সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার বলেন, আমাদের সকলের হাঁটা এবং সাইকেল চালানোর অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, এসব অভ্যাসের ফলে যেমন স্বাস্থ্যের উপকার হয়, তেমনি পরিবেশ ভালো থাকে। এছাড়াও চিকিৎসা ব্যয় এবং সড়ক দুর্ঘটনাও কমবে। এজন্য সকল সরকারি-বেসরকারি সেক্টর এবং তরুণদের একযোগে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করতে হবে।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. গোলাম রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি ও ঢাকা সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক মো: ইকবাল হোসেন রাজু, ভাইটাল স্ট্রাটেজিস বাংলাদেশের টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার আমিনুল ইসলাম সুজন ও বাংলাভিশনের সিনিয়র নিউজ এডিটর আবু রুশদ মো. রুহুল আমিন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সভাপতি আব্দুল্লাহ মেহেদী দীপ্ত এবং বাংলাদেশ মেডিকেল স্টুডেন্ট সোসাইটির সভাপতি ইফতিখার আহমেদ সাকিব।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আহ্ছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিং-এর সমন্বয়কারী মারজানা মুনতাহা।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৩৬:৪৬ ১০ বার পঠিত