
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার বলেছেন, সকল ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে গণসচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আজ সোমবার খুলনা শহরের ফাতেমা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজিত মানব পাচার, চোরাচালান, অনিরাপদ অভিবাসন এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের ওপর এক সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মানবাধিকার সংস্থা জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
কেএমপি কমিশনার বলেন, মানব পাচারের মতো অপরাধ প্রতিরোধ, নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করা এবং বাল্যবিবাহ মোকাবিলা করা সহজ কাজ নয়। তবে তৃণমূল পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এই সমস্যাগুলো সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। স্কুল ও কলেজের শিক্ষকদের মাধ্যমে এ সচেতনতা বৃদ্ধি করা যায়।
তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নিরীহ লোকদের প্রায়শই ভালো চাকরি, মডেলিংয়ে সুযোগ বা বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিদেশে পাঠানো হয়। যখন ভুক্তভোগীরা বুঝতে পারে, তাদের পাচার করা হয়েছে, তখন অনেক দেরি হয়ে যায়। বিশেষ করে যদি যথাযথ ভ্রমণ নথিপত্র ছাড়াই তাদের নিয়ে যাওয়া হয়, তাহলে তাদের উদ্ধার এবং শনাক্তকরণ অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে।
শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি জোর দিয়ে বলেন, সচেতনতা বৃদ্ধিতে আপনাদের প্রচেষ্টা অনেক শিক্ষার্থীকে এই ধরনের প্রতারণার শিকার হওয়া এড়াতে সাহায্য করতে পারে।
কেএমপির পক্ষ থেকে তিনি মানব পাচার এবং বাল্যবিবাহ রোধে সক্রিয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের কর্মকর্তা, স্কুল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৪৯:০৯ ১১ বার পঠিত