
গাজীপুরের শ্রীপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে গাজীপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল হক মোল্লাসহ সাতজনকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি পিস্তল, ম্যাগাজিন, গুলি, ওয়াকিটকি ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (৫ নভেম্বর) মধ্যরাতে শ্রীপুরের বরমি এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয়।
যৌথবাহিনী জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতের ওই অভিযানে এনামুল হক মোল্লার বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে দুটি পিস্তল, ম্যাগাজিন, গুলি, ওয়াকিটকি ও বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। পরে বাড়ির মালিক এনামুল হক মোল্লাসহ সাতজনকে আটক করে থানায় সোপর্দ করা হয়।
গ্রেফতার এনামুল হক মোল্লা দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবের মক্কা বিএনপির সভাপতি পরিচয়ে চলছিলেন। সম্প্রতি গাজীপুর-৩ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন চেয়েছিলেন তিনি। পরে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দেন। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
তবে স্থানীয় বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, এনামুল হক মোল্লা বিএনপির কেউ নন।
কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ও গাজীপুর-৩ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, ‘এনামুল হক মোল্লা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। তিনি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় তাকে দল থেকে বহু আগেই বহিষ্কার করা হয়েছিল। সরকার পতনের পর তিনি বিভিন্ন সন্ত্রাসীদের সঙ্গে প্রকাশ্যে আসেন। তার দায় বিএনপি নেবে না।’
অন্যদিকে, বিষয়টিকে ‘পরিকল্পিত ফাঁদ’ বলছেন এনামুল হক মোল্লার স্বজনরা।
এনামুল হক মোল্লার ছোট ভাই মাজহারুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘বিরোধীদের যোগসাজশে বাইরে থেকে অস্ত্র এনে আমাদের ফাঁসানো হয়েছে। অভিযানের সময় সিসিটিভি ক্যামেরাও ভাঙচুর করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশ বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৪৫:৩২ ১৬ বার পঠিত