
সিরিজ নির্ধারণী টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে ব্যাটিং নেয়া আয়ারল্যান্ডকে ঝড়ো সূচনা এনে দিয়েছিলেন পল স্টার্লিং। টিম টেক্টরকে নিয়ে ৪ ওভারেই ৩৮ রান তুলে বড় সংগ্রহেরই ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন আইরিশ অধিনায়ক। কিন্তু টিমকে ফিরিয়ে লাগাম টানলেন শরিফুল ইসলাম। এরপর একে একে জ্বলে উঠলেন মোস্তাফিজ-রিশাদরা। স্টার্লিং একটু চেষ্টা করলেও পেরে উঠলেন না। টাইগারদের বোলিং তোপে অল্প রানেই গুটিয়ে গেছে আইরিশরা।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৫ ওভারে ১১৭ রানেই গুটিয়ে গেছে আয়ারল্যান্ড। টস জিতে ব্যাটিং নেয়া আইরিশদের অল্পে গুটিয়ে দিতে বড় অবদান রেখেছেন মোস্তাফিজ-রিশাদ।
পল স্টার্লিং ও টিম টেক্টরের ওপেনিং জুটি দারুন শুরু এনে দিয়েছিল আয়ারল্যান্ডকে। শেখ মেহেদীর করা ইনিংসের প্রথম ওভারেই চড়াও হন স্টার্লিং। ৩ চারে সেই ওভারে তোলেন ১৩ রান। চতুর্থ ওভারে লিটন বল তুলে দিয়েছিলেন শরিফুলের হাতে। সেই ওভারের তৃতীয় থেকে পঞ্চম বলে দুটি চার ও ১টি ছক্কা হাঁকান টেক্টর। ওভারের শেষ বলটায় শরিফুল নেন মধুর প্রতিশোধ। স্লোয়ারে পরাস্ত টিম টেক্টর বোল্ড।
আউট হওয়ার আগে ১০ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ১৭ রান করেন তিনি।
স্টার্লিং ঝড় অবশ্য তখনও অব্যাহত। পরের ওভারে সাইফউদ্দিনকে হা৬কান ছক্কা। হ্যারি টেক্টরও মারেন চার।
ষষ্ঠ ওভারে বল হাতে নিয়েই ম্যাজিক দেখান মোস্তাফিজ। ৫ রান করা টেক্টরকে দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন।
এরপরই খেই হারায় আইরিশরা। আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেয় আইরিশরা। দলীয় ৭৩ রানে আউট হয়ে যান স্টার্লিংও। রিশাদের বলে আউট হওয়ার আগে ২৭ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৩৮ রান করেন আইরিশ অধিনায়ক।
এরপর দুই অঙ্কের রান করতে পেরেছেন শুধু জর্জ ডকরেল (২৩ বলে ১৯) ও গ্যারেথ ডেলানি (১২ বলে ১০)।
এদিন দারুণ এক কীর্তি গড়েছেন তানজিদ হাসান তামিম। পাঁচটি ক্যাচ নিয়ে আউটফিল্ড ফিল্ডার হিসেবে এক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সর্বোচ্চ ক্যাচের বিশ্বরেকর্ড ছুঁয়েছেন এই বাঁহাতি। বাংলাদেশের হয়ে এর আগে ১১জন এক ম্যাচে ৩ ক্যাচ নেয়ার কীর্তি গড়েছিলেন।
মোস্তাফিজ ৩ ওভারে ১১ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেছেন। ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে রিশাদও ৩ উইকেট নিয়েছেন। শরিফুল ২টি এবং শেখ মেহেদী ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ১টি করে উইকেট পেয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:০৭:১০ ৫ বার পঠিত