
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেছেন, গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির পরবর্তী ধাপে পৌঁছাতে না পারা যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের জন্য বিশাল পরাজয় বলে গণ্য হবে। একইসঙ্গে হামাসকে নিরস্ত্রীকরণের আগে গাজার শাসন ব্যবস্থা গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত বলে জানান তিনি।
দোহা ফোরামের সাইডলাইনে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) এক সাক্ষাৎকারে ফিদান বলেন, হামাস গাজা শাসনের দায়িত্ব হস্তান্তর করতে প্রস্তুত। তবে এসব প্রাথমিক কাঠামো গড়ে না উঠলে যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম পর্যায়েই হামাসের অস্ত্র ত্যাগের দাবি বাস্তবসম্মত নয় বা কার্যকর হবে না।
তিনি বলেন, ফিলিস্তিনে একটি নির্ভরযোগ্য স্থানীয় প্রশাসন ও প্রশিক্ষিত পুলিশ বাহিনী তৈরির মাধ্যমে হামাস নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত। এমনকি, স্থানীয় পুলিশ বাহিনীর কাছে অস্ত্র হস্তান্তর করতে গোষ্ঠীটি রাজি বলেও জানান তিনি।
তিনি জানান, প্রস্তাবিত পুলিশ বাহিনীতে হামাসের কোনো সদস্য থাকবে না। এই বাহিনীকে আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী সমর্থন দেবে। তুরস্ক ওই বহুজাতিক বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার চেষ্টা করছে এবং যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে ইসরাইলের ওপর চাপ দিচ্ছে।
ফিদান সতর্ক করে বলেন, যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনাকে পরবর্তী ধাপে এগিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ব্যর্থ হলে তা হবে বিশ্ব সম্প্রদায় এবং যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় ব্যর্থতা। বিশেষ করে এমন এক সময়ে, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প নিজে এই উদ্যোগে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
ন্যাটো সদস্য তুরস্ক গাজায় ইসরাইলের হামলার বরাবরই সমালোচনা করে আসছে। গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে দেশটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এছাড়া চুক্তিতে গ্যারান্টার হিসেবে স্বাক্ষর করেছে আঙ্কারা।
গাজায় দুই বছরের সংঘাতের অবসান ঘটাতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ বাস্তবায়ন করতে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২:১৫:৫৮ ১১ বার পঠিত