রংপুর বিভাগের প্রথম কাসাভা চাষ শুরু হয়

প্রথম পাতা » কৃষি ও বাণিজ্য » রংপুর বিভাগের প্রথম কাসাভা চাষ শুরু হয়
বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২২



---

মোস্তাফিজার রহমান রংপুর প্রতিনিধি : কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় ২০ বিঘা জমিতে চাষ করা হয়েছে কাসাভা বা শিমুল আলু। মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় ফলন ভালো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিভিন্ন দেশে জনপ্রিয় খাবার কাসাভা, যেটি বাংলাদেশে পরিচিত শিমুল আলু হিসেবে। খাদ্যের পাশাপাশি ওষুধ শিল্পে ব্যবহার হওয়ায় এর চাহিদাও বেশ। বিষয়গুলো মাথায় নিয়ে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে শুরু হয়েছে শিমুল আলুর চাষ, যাতে আগ্রহ বাড়ছে স্থানীয় কৃষকদের।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় ২০ বিঘা জমিতে চাষ করা হয়েছে কাসাভা। মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় ফলন ভালো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, দেবীগঞ্জে রংপুর বিভাগের প্রথম কাসাভা চাষ শুরু হয়। অপেক্ষাকৃত অনুর্বর, পতিত জমিতে সহজে এটি চাষ করা যায় বলে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা।
কাসাভা চাষের পাঁচ থেকে ছয় মাসে ফলন আসে। সব ঠিক থাকলে এ মাসেই ফসল ঘরে তুলতে পারবেন চাষিরা। দেবীগঞ্জ উপজেলার টেপ্রীগঞ্জ কাদেরের মোড়ের চাষি মোস্তফা কামাল জানান, তার পতিত ২২ বিঘা জমির মধ্যে প্রকল্পের আওতায় ২০ বিঘায় কাসাভার চাষ হয়েছে। প্রতিটি গাছ থেকে ১৫/২০ কেজি কাসাভা মিলবে। এতে পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকা আয় হবে।
তিনি জানান, কাসাভা গাছের কোনো কিছুই ফেলনা নয়, যার পাতা সবজি হিসেবে কিংবা ভাজি করে খাওয়া যায়। গাছ দিয়ে গোখাদ্যসহ জৈব সার তৈরি হয়। এ ছাড়া সাগুদানা, বার্লি, পোশাক ও ওষুধ শিল্পের কাঁচামালও তৈরি হয় কাসাভা দিয়ে।
প্রকল্পের বাইরে নিজেদের মতো করে কয়েক বিঘা জমিতে কাসাভা চাষ করা রামগঞ্জ বিলাশি এলাকার জুলহাস উদ্দিন ও রফিকুল ইসলাম জানান, আগে শিমুল আলুকে তারা জংলি গাছ মনে করতেন। পরে কৃষি বিভাগের কাছ থেকে গুণাগুণ জানতে পেরে ফসলটি চাষ করছেন। তারা আশা করছেন ভালো ফলনের।
দেবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাফীয়ার রহমান জানান, কাসাভা চাষের শুরু থেকে এ পর্যন্ত সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে আসছে কৃষি বিভাগ। কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের উপপরিচালক ফেরদৌসি ইয়াসমিন বলেন, ‘কন্দাল জাতীয় ফসলের মধ্যে কাসাভার চাহিদা অনেক বেশি। চাহিদা অনুযায়ী প্রতি বছর দেশে সাড়ে ৩ লাখ টন কাসাভা আমদানি করা হয়।
‘চাহিদার মাত্র দুই ভাগ দেশে উৎপাদন হয়। আমদানিনির্ভরতা কমাতে এবং দেশীয় শিল্পের চাহিদা মেটাতে দেশে কাসাভা চাষের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’ কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মোখলেসুর রহমান জানান, মানুষের খাদ্যাভাস পরির্বতন করে সুষম ও পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ খাবারের অভ্যাস গড়তে পারলে জটিল রোগ নিরাময়সহ আয়ের ক্ষেত্রগুলো বাড়বে। সরকার দেশে নানা প্রজাতির খাদ্য উৎপাদনে চাষিদের সমন্বিতভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:৩৪:৫২   ৩৬৭ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

কৃষি ও বাণিজ্য’র আরও খবর


বৈষম্যহীন ও ন্যায়নিষ্ঠ রাষ্ট্র গড়ার অদম্য পথযাত্রার সূচনা করেছে জুলাই অভ্যুত্থান : শেখ বশিরউদ্দীন
গম আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই
স্টারলিংক দ্রুত চালু করায় সরকারের প্রশংসা করেছেন ড্রেয়ার
পুঁজিবাজারে সরকারের ভূমিকার সমালোচনা, সংস্কারের অঙ্গীকার আমির খসরুর
নড়াইলে ২৫,১৪৬ টন আউশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ডিএই
দেশে ‘গুগল পে’র আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু
বছরে ১০ হাজার কোটি টাকার ফল আমদানি : কৃষি উপদেষ্টা
সিডনিতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রদর্শনীতে ১০ বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ
মেধাস্বত্ত সংরক্ষণের ফলে উদ্যোক্তাদের ব্যবসা সুরক্ষা বৃদ্ধি পাবে: শিল্প উপদেষ্টা
ভিয়েতনাম-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরামে দু’দেশের অংশীদারিত্ব গঠনের আহ্বান

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ