নারায়ণগঞ্জে জাতীয় স্বাস্থ্য ও কল্যাণ দিবস পালিত

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » নারায়ণগঞ্জে জাতীয় স্বাস্থ্য ও কল্যাণ দিবস পালিত
মঙ্গলবার, ২ মে ২০২৩



---

“সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের পথ পরিক্রমায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অদম্যযাত্রা” এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে র‌্যালী, বৃক্ষরোপণ, কেক কাটা ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জে পালিত হয়েছে জাতীয় স্বাস্থ্য ও কল্যাণ দিবস-২০২৩। জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আয়োজনে অনুষ্ঠানে চিকিৎসক, সেবিকা ও স্বাস্থ্য সহকারিসহ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারিগণ অংশগ্রহণ করেন।

মঙ্গলবার (২ মে) সকালে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সভাকক্ষে জেলা সিভিল সার্জন ডা. আফম মুশিউর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অনীক বিশ্বাস, জেনারেল ( ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শেখ ফরহাদ, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. একেএম, মেহেদী হাসান ও ডা.শিল্পী আক্তার।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সিনিয়র স্বাস্থ্যশিক্ষা কর্মকর্তা আসিফ মাহমুদ’র সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জুনিয়র স্বাস্থ্যশিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাকির হোসেন, জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক স্বপন দেবনাথ ও জেলা সেনেটারী ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী ভূঁইয়া প্রমূখ।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এইদিনে কলকাতার ৮নং থিয়েটার রোডে প্রবাসী সরকারের কার্যালয়ে বাংলাদেশ সরকারের (মুজিব নগর সরকার) প্রথম অধিদপ্তর হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যাত্রা শুরু হয়। ১৯৭১ সালের এক ঐতিহাসিক মাহেন্দ্রক্ষণে দেশমাতৃকার বীর সেনানি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা প্রদান, শরণার্থী শিবিরে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের মহান ব্রত নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যাত্রা শুরু, সেই থেকে অবিরাম পথচলা শুরু হয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সাড়ে সাত কোটি বাঙ্গালির স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতের দায়িত্ব নেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ১৯৭১ সালে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা প্রদান, শরণার্থী শিবিরে সেবা প্রদানের পাশাপাশি সম্মুখ সমরে সরাসরি অংশগ্রহনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নেয়। এই সোনালী দিনের স্মৃতিকে চির অম্লান ও স্মরণীয় করে রাখতে ২০২২ সাল থেকে ২ মে “স্বাস্থ্য ও কল্যাণ দিবস” হিসেবে পালিত হচ্ছে।

বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মলগ্নে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যাত্রা শুরু হয়। অবিরাম আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা, অগণিত শরণার্থীদের চিকিৎসা, নিহতদের মৃতদেহ সৎকার স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে এইসব ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চলেছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময়।

চিকিৎসা যুদ্ধ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের এক উল্লেখযোগ্য অধ্যায়। ল্যানসেট সাময়িকীর বিশেষ প্রকাশনা ২০১৩ অনুযায়ী বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের অর্জনের অন্যতম নিয়ামক হলো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:৩১:০০   ২৮৩ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


আল কোরআন ও আল হাদিস
সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট্রের আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ:
ভোলায় গণসংযোগে জামায়াত-বিএনপির সংঘর্ষ, আহত ১১
আড়াইহাজারে ২ মাদক সেবনকারীকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কারাদণ্ড
নতুন কূপ খনন শুরু, দিনে মিলবে ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস
বাংলাদেশকে বিশ্বকাপ জিততে দেখতে চান শোয়েব আখতার
সিইসির বক্তব্যে জামায়াত আমিরের ক্ষোভ
পুরোনো রাষ্ট্রব্যবস্থা ব্যবহার করে হাদিকে গুলি করা হয়েছে: ফরহাদ মজহার
কেউ দলের নাম ভাঙিয়ে অপরাধ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: দিপু ভূঁইয়া
মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সংরক্ষণে জেলা প্রশাসন কাজ করছে: ডিসি

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ