
বৃষ্টি, বন্যা ও ভূমিধসে উত্তর-পূর্ব ভারতের গত দুইদিনে কমপক্ষে ৩০ জন মারা গেছেন। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আসামের রাজধানী গুয়াহাটিতে একদিনে ১১১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ভেঙে গিয়েছে ৬৭ বছরের পুরোনো রেকর্ড।
রোববার (১ জুন ) সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর-পূর্ব ভারতের আসাম, অরুণাচল, মেঘালয়, মণিপুর এবং মিজোরামে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে গত দুইদিনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আসামের ১২টি জেলায় কমপক্ষে ৬০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বন্যায় আসামে পাঁচজন, অরুণাচলে নয়জন মারা গেছেন। এরমধ্যে অরুণাচল প্রদেশের পূর্ব কামেং জেলায় রাস্তা থেকে গাড়ি ভেসে দুই পরিবারের সাতজন নিহত হন।
আবহাওয়া দফতর আসামের কিছু অংশের জন্য রেড এবং অরেঞ্জ এলার্ট এবং অন্যান্য অঞ্চলে অরেঞ্জ এবং ইয়েলো এলার্ট জারি করেছে।
এনডিটিভি বলছে, আসামের ছয়টি জেলায় টানা বৃষ্টিতে গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় ১০ হাজারেরে বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আসাম রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কামরূপ মেট্রোপলিটন জেলা থেকে পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আসামের নগর উন্নয়নমন্ত্রী জয়ন্ত মল্ল বড়ুয়া শুক্রবার বলেন, গুয়াহাটির উপকণ্ঠে বোন্ডা এলাকায় ভূমিধসে তিন নারীর মৃত্যু হয়েছে।
গুয়াহাটিতে ৬৭ বছরের মধ্যে শুক্রবার সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হযেছে। এদিনে ১১১ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ব্রহ্মপুত্র সহ উত্তর-পূর্বের অনেক নদীর পানির স্তর বেড়েছে।
অন্যদিকে, অরুণাচলে বন্যায় মারা গেছেন নয়জন। অরুণাচল প্রদেশের পূর্ব কামেং জেলায় ভূমিধসে গাড়িটি রাস্তা থেকে তলিয়ে যাওয়ায় দুটি পরিবারের সাতজন সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার অরুণাচল প্রদেশের বানা এবং সেপ্পার মধ্যবর্তী জাতীয় সড়ক ১৩-এর পাশে ভূমিধসে একটি ব্রেজা গাড়ি গভীর খাদে পড়ে যায়। ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার ধারে আরও একটি সুমো গাড়িও আটকা পড়ে, তবে সৌভাগ্যবশত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩:৪০:৫৩ ২৪ বার পঠিত