
উজবেকিস্তান, (১৬ ডিসেম্বর) : বাংলাদেশ দূতাবাস, উজবেকিস্তান যথাযথ মর্যাদা ও আনন্দের সাথে আজ মহান বিজয় দিবস ২০২৫ উদ্যাপন করে। প্রবাসী বাংলাদেশী ও দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম কর্তৃক দূতাবাস প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বাণী পাঠ করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে মহান মুক্তিযুদ্ধের উপর নির্মিত ভিডিও প্রদর্শিত হয়। রাষ্ট্রদূত ড. ইসলাম তাঁর সভাপতির বক্তব্যে দিবসটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও তাৎপর্যের উপর আলোকপাত করেন। ৭১’ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে ও জুলাই-আগস্টে আত্মত্যাগকারী শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশ ও জনগণের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও উন্নতি প্রার্থনা করে এক বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে প্রথম পর্বের সমাপ্তি ঘটে।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে একই দিনে অপরাহ্ণে দূতাবাসে “বাংলাদেশ-উজবেকিস্তান সম্পর্ক : ইউথ এজ এজেন্টস ফর ট্রান্সফরমেশন” শীর্ষক প্যানেল আলোচনার আয়োজন করা হয়, যেখানে উজবেকিস্তানের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।। রাষ্ট্রদূত ড. ইসলামের সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচনায় বক্তব্য রাখেন উজবেকিস্তান চেম্বার্স এন্ড কমার্সের উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত ড. আলিসার শায়েক এবং উজবেকিস্তান ওয়ার্ল্ড ইকোনোমি ও ডিপ্লোমেসি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-রেক্টর ড. মোজাফফর জালালোভ। বক্তাগণ তারুণ্য শক্তি, উদ্যম, মেধা, সাহসিকতা ও সৃষ্টিশীলতার বর্ণনা দিয়ে বিশ্ব শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠায় তরুণ সমাজ কর্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশ-উজবেকিস্তানের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরো অর্থবহ ও ফলপ্রসূ করতে দু’দেশের তরুণ সম্প্রদায়ের মধ্যে শিক্ষা-সংস্কৃতি, বিজ্ঞান ও টেকনোলজি বিষয়ক সহযোগিতা ও বিনিময় বৃদ্ধির ওপর তাঁরা জোর গুরুত্ব আরোপ করেন।
প্যানেল আলোচনা শেষে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে দূতাবাসে এক সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়, যেখানে উজবেকিস্তানের সরকারি, বেসরকারি পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ ব্যবসায়িক, শিক্ষা, সংস্কৃতি, পর্যটন ও মিডিয়া অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত ড. ইসলাম তাঁর বক্তব্যে মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল বীর শহিদসহ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন, যাদের অসীম সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটেছিল। তিনি উজবেকিস্তানের জনগণের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন যারা ইতিহাসের কঠিন সময় বাংলাদেশকে সহযোগিতা ও সমর্থন করেছিলেন। রাষ্ট্রদূত ড. ইসলাম বৈষম্যহীন, শোষণমুক্ত, সুখী, সমৃদ্ধশালী, আধুনিক বাংলাদেশ গঠনে সরকারের দৃঢ় প্রত্যয় ও প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
আমন্ত্রিত অতিথিগণ মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি তাদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন প্রকাশ করেন। বাংলাদেশ-উজবেকিস্তান সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরো গভীর ও শক্তিশালী হবে এ আশাবাদ ব্যক্ত করার মধ্য দিয়ে উদ্যাপনের সমাপ্তি ঘটে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:১৮:৪৪ ৮ বার পঠিত