বাংলাদেশের জন্য ৭ হাজার ৬৩৮ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন বিশ্বব্যাংকের

প্রথম পাতা » অর্থনীতি » বাংলাদেশের জন্য ৭ হাজার ৬৩৮ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন বিশ্বব্যাংকের
শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪



বাংলাদেশের জন্য ৭ হাজার ৬৩৮ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন বিশ্বব্যাংকের

বাংলাদেশের জন্য ৬৫ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ হাজার ৬৩৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১১৭.৫১ টাকা ধরে)।

আজ (শনিবার) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস এ তথ্য জানায়। ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক বোর্ড এই অর্থ অনুমোদন করে।

সংস্থাটি জানায়, বাংলাদেশকে বে-টার্মিনাল গভীর সমুদ্রবন্দর উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে বিনিয়োগে সহায়তা করতে ৬৫ কোটি ডলার ঋণ দেওয়া হচ্ছে; যা বাংলাদেশের বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রতিযোগিতার উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নতি করবে এবং বন্দর বৃদ্ধির মাধ্যমে আমদানি ও রপ্তানি খরচ কমিয়ে আনবে।

বিশ্বব্যাংক জানায়, বে টার্মিনাল সামুদ্রিক অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ৬ কিলোমিটার জলবায়ু-স্থিতিস্থাপক ব্রেকওয়াটার নির্মাণ করা হবে। নতুন এই আধুনিক বে টার্মিনাল আন্তর্জাতিক টার্মিনাল অপারেটরদের দ্বারা পরিচালিত হবে। এই টার্মিনালে প্যানাম্যাক্স জাহাজের মতো বড় আকারের জাহাজগুলোর জন্য সুযোগ বাড়াবে এবং জাহাজের টার্নঅ্যারাউন্ড সময়কে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করবে। এর মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাশ্রয় হবে। বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ৯০ শতাংশ এবং এর ৯৮ শতাংশ কনটেইনার প্রবেশ করে। তবে এই বন্দর দিয়ে ছোট ফিডার জাহাজগুলো প্রবেশ করতে পারে।

বাংলাদেশ ও ভুটানের বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেন, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর অনেক বেশি নির্ভর করে। যা উল্লেখযোগ্য সক্ষমতার সীমাবদ্ধতার সম্মুখীন হয়। বে টার্মিনাল একটি গেম চেঞ্জার হবে। এটি বর্ধিত বন্দর সক্ষমতা এবং পরিবহন খরচ ও সময় হ্রাসের মাধ্যমে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রতিযোগিতার উন্নতি ঘটাবে। এর মাধ্যমে মূল বৈশ্বিক বাজারে নতুন সুযোগ উন্মোচন করবে।

তিনি বলেন, প্রকল্পটি কন্টেইনার টার্মিনালগুলোর উন্নয়নের জন্য বেসরকারি বিনিয়োগকে একত্রিত করবে। সরকারি অর্থায়নের সাথে বিশ্বব্যাংকের বিনিয়োগ বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি করবে এবং সামগ্রিক বে টার্মিনাল উন্নয়নের সাথে যুক্ত ঝুঁকি কমাতে অবদান রাখবে।

বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ট্রান্সপোর্ট স্পেশালিস্ট এবং প্রকল্পের দলনেতা হুয়া টান বলেছেন, বে টার্মিনাল দেশের সমুদ্রবন্দর অবকাঠামোর আধুনিকীকরণ এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বাজারের সংযোগ উন্নত করতে অবদান রাখবে। বে টার্মিনাল, চট্টগ্রাম বন্দরের পশ্চিমে আনন্দনগর/সন্দ্বীপ চ্যানেলে অবস্থিত এবং ঢাকার সাথে বিদ্যমান সড়ক ও রেল যোগাযোগের কাছাকাছি, বাংলাদেশের কন্টেইনারের পরিমাণের ৩৬ শতাংশ পরিচালনা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। শিপিং কোম্পানি, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়, আমদানিকারক, রপ্তানিকারক এবং মালবাহী ফরওয়ার্ডারসহ টেকসই পরিবহন পরিষেবাগুলোতে উন্নত অ্যাক্সেসের মাধ্যমে এক মিলিয়নেরও বেশি মানুষ সরাসরি উপকৃত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭:১৭:১৪   ২৫৬ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

অর্থনীতি’র আরও খবর


ফেব্রুয়ারির পর চলে যেতে হবে, মানুষের জন্য কিছু করে যেতে চাই - অর্থ উপদেষ্টা
বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে ওয়েসিস অ্যাক্সেসরিজের ৪৮ লাখ ডলার বিনিয়োগ
তৈরি পোশাক রফতানি আয় বাড়ল ৯.৬৩ শতাংশ
মোংলা ইপিজেডে এলইডি ও প্যাকিং সামগ্রী তৈরি করবে চীনা প্রতিষ্ঠান সেনশিন বিডি
নগদকে বেসরকারিকরণ করবে সরকার: বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর
‘ভোক্তা-অধিকার রক্ষায় অংশীজনের সমন্বিত ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
লিড প্লাটিনাম সনদ অর্জন করলো বাংলাদেশের আরও দুই কারখানা
বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারে নজর দিচ্ছেন পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী
ঋণখেলাপিরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : অর্থ উপদেষ্টা
দাম নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজ আমদানি উন্মুক্ত করা হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ