
উদ্বোধনী ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে গোলবন্যায় ভাসিয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। আজ অবশ্য বসুন্ধরার স্পোর্টস গ্রাউন্ডে প্রথম ম্যাচের মতো ৯-১ গোলে উড়িয়ে দিতে পারেনি। তবে শ্রীলঙ্কার গোলরক্ষক থারুশিখা দোদামগোদেজ যদি গোলবারের নিচে বীরত্ব না দেখাতেন তাহলে আগের থেকেও বেশি গোলে জিততে পারতেন আফঈদা খাতুন-পূজা দাসরা।
সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় দেখায় আজ যে ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ সেটিও কম নয়।
প্রতিপক্ষকে আজ ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ জোড়া গোল করেছেন পূজা। এ জয়ে পাঁচে পাঁচ করেছে বাংলাদেশ। এতে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থানও নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।
ম্যাচের দশম মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে একই আক্রমণে পরপর দুইবার সেভ করে শ্রীলঙ্কাকে গোল হজম থেকে বাঁচিয়ে দেন গোলরক্ষক থারুশিখা দোদামগোদেজ। সেই যাত্রায় লঙ্কানদের রক্ষা করলেও ২৪ মিনিটে পারেননি থারুশিখা। বক্সের বাইরে থেকে কানন রানী বাহাদুরের বাঁ পায়ের মাটি কামড়ানো শটটা যে বুঝতেই পারেননি তিনি।
৩৮ মিনিটে ভাগ্য সহায় থাকলে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ড ২-০ হতে পারত। প্রায় মাঝ মাঠ থেকে দূরপাল্লার এক শট নিয়েছিলেন অধিনায়ক সুরমা জান্নাত। কিন্তু তার নেওয়া শটটা বারে লেগে ফিরে আসে। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ঠিকই ব্যবধান দ্বিগুণ হয়েছে। গোলটি করেছেন পূজা দাস।
তবে স্কোরশিটে নামটা পূজা না হয়ে তৃষ্ণা রানী হতে পারত। বক্সের মধ্যে থেকে তার নেওয়া শটটা যদি ডান পোস্টে না লাগত। ভাগ্যে তৃষ্ণার পক্ষে না থাকলেও ফিরতি সুযোগে বল জালে জড়াতে ভুল করেননি পূজা।
বিরতির পর খেলা শুরু হতেই তৃতীয় গোলের দেখা পেয়েই গিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে বাধা হয়ে দাঁড়ালেন শ্রীলঙ্কার গোলরক্ষক থারুশিখা। ডান প্রান্ত থেকে উমেলা মারমার দারুণ এক ক্রসে মাটিতে বল পড়ার আগেই শট নিয়েছিলেন অয়ন্ত বালা মাহাত। কিন্তু তার শট অবিশ্বাস্যভাবে সেভ করলেন শ্রীলঙ্কার গোলরক্ষক। ৪৯ মিনিটে আরেকটি নিশ্চিত গোল সেভ করেন তিনি। আফঈদা খন্দকারের নেওয়া শটটা কর্নারের বিনিময়ে শ্রীলঙ্কাকে রক্ষা করেন তিনি।
৭৩ মিনিটে আরেকটি দুর্দান্ত প্রচেষ্টা ছিল থারুশিখার। তবে এবার পরাস্ত হয়েছেন তিনি। বক্সের বাইরে থেকে পূজার নেওয়া শটটা শূন্যে লাফ দিয়ে বারের ওপর দিয়ে বল পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন তিনি। তবে ঠিকমতো বলকে পথ দেখাতে না পারায় জালে জড়িয়ে যায়। তাতে ম্যাচে জোড়া গোলের দেখা পান পূজা।
৮২ মিনিটে অবশ্য নিশ্চিত গোল তালুবন্দি করে তৃষ্ণাকে ঠিকই হতাশ করেছেন থারুশিখা। ৪ মিনিট পর তৃষ্ণাকে হতাশ হতে হয়নি। ৮৬ মিনিটে ঠিকই গোলটা আদায় করে নিয়েছেন তিনি। এই গোলের পরেই শ্রীলঙ্কার হয়ে ম্যাচে দুর্দান্ত প্রতিরোধ গড়া থারুশিখা বদলি হতে বাধ্য হন। অসুস্থ হওয়ায় তাকে মাঠ ছাড়তে হয়। শ্রীলঙ্কার জালে শেষ পেরেক মারেন বাংলাদেশের অধিনায়ক আফঈদা। যোগ করা সময়ের সপ্তম মিনিটে পেনাল্টিতে গোল করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:০২:৩৪ ৯ বার পঠিত