
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের সাধারণ বিতর্কের পঞ্চম দিন শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ইউরোপের ক্ষুদ্র দেশ সান মারিনো আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ফিলিস্তিনের ওয়াফা নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর মাধ্যমে এখন পর্যন্ত মোট ১৫৮টি দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে গণ্য করেছে।
সান মারিনোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুকা বেকারি জাতিসংঘের সম্মুখে বলেন, ‘গত ১৫ মে আমাদের পার্লামেন্ট সর্বসম্মতিক্রমে চলতি বছরের মধ্যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। আজ আমরা সেই সিদ্ধান্ত এখানে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করছি—সান মারিনো ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিচ্ছে।
’ তার এই ঘোষণা উপস্থিত রাষ্ট্রপ্রধান ও কূটনীতিকদের করতালিতে স্বাগত পেয়েছে।
বেকারি আরো বলেন, ‘একটি রাষ্ট্র থাকা ফিলিস্তিনি জনগণের মৌলিক অধিকার। এটি হামাসের জন্য কোনো পুরস্কার নয়।’ তিনি গাজা ও পশ্চিম তীরে চলছে এমন মানবিক বিপর্যয়ের জন্য গভীর দুঃখ প্রকাশ করে সেটিকে ‘অসহনীয়’ এবং ‘আমাদের সময়ের সবচেয়ে বেদনাদায়ক ও দীর্ঘস্থায়ী ট্র্যাজেডিগুলোর একটি’ হিসেবে বর্ণনা করেন।
সান মারিনো পক্ষ থেকে গাজার জন্য অবিলম্বে ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, পূর্ণ ও ত্রাণ সহায়তার অবাধ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা এবং পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি স্থাপন বন্ধ করার দাবি জানানো হয়।
বেকারি বলেন, ‘নির্বিচারে বোমাবর্ষণ, অনাহার ও বাস্তুচ্যুতির মাধ্যমে কোনো জাতিকে সম্মিলিতভাবে শাস্তি দেওয়াকে আমরা কোনোভাবেই সমর্থন করতে পারি না।’
তিনি গণহত্যা বন্ধে আন্তর্জাতিকভাবে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘যদি আমরা ঐক্য ও দৃঢ়তার সঙ্গে কাজ না করি, তাহলে মর্যাদা ও নিরাপত্তার সঙ্গে পাশাপাশি বসবাসের ধারণা হারিয়ে যাবে। এই অন্ধকার সময়ে আমাদের দায়িত্ব আরও জরুরি।
প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহেই ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও পর্তুগালসহ কয়েকটি দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে— এমন খবরও একই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:১৪:৩৮ ২০৫ বার পঠিত