পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার সঙ্গে বৈঠক করেছে গণঅধিকার পরিষদ। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বেইলি রোড, পার্বত্য কমপ্লেক্সে এই বৈঠক হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান, উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, জসিম উদ্দিন আকাশ, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক লোকমান হোসেন, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি সাব্বির, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক জিয়াদ, ছাত্র অধিকার পরিষদের উত্তরের সভাপতি আবির ইসলাম, তপেন বিকাশ ত্রিপুরা, যুব নেতা খাগড়াছড়ি জেলা, জনেল চাকমা, সদস্য সচিব ডবলমুরিং থানার, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, চট্টগ্রাম, অংথোয়াইচিং মার্মা, গণ নেতা খাগড়াছড়ি জেলা, অ্যাডভোকেট ইউচাচিং মারমা, গণ নেতা, বান্দরবান জেলা।
এসময় দলের পক্ষ থেকে কয়েকটি দাবি তুলে ধরা হয়।
সেগুলো হলো-পার্বত্য চট্টগ্রামে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
পার্বত্য অঞ্চলের সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে ডাক্তারের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে এবং স্থানীয় পর্যায়ে সকল রোগ নির্ণয়ের প্রযুক্তি গত সহায়তা প্রদান করতে হবে।
দ্রুততম সময়ের মধ্যে ট্যুরিজম অর্থনীতির বিকল্প অর্থনীতির ব্যবস্থা করতে হবে এবং তিন পার্বত্য অঞ্চলে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে হবে।
ট্যুরিজম অর্থনীতিকে প্রসারিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
সেইসঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রামে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের মহাসড়কগুলো চার থেকে ছয় লেনে উন্নীত করতে হবে।
পার্বত্য অঞ্চলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাফিলিয়েটেড বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলতে হবে। পার্বত্য অঞ্চলে কাপ্তাই লেকসহ সকল নদীগুলোর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে দ্রুত সময়ের মধ্যে খনন কার্য শুরু করতে হবে ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে এবং জেলেদের জীবন মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।
পার্বত্য অঞ্চলের যে সকল জায়গায় এখনো বিদ্যুৎ পৌঁছেনি, সে সকল জায়গায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৪৫:০৫ ৩৫ বার পঠিত