
প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে পৌষের মাঝামাঝি এসে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে শীতের প্রবল দাপট। ঘন কুয়াশা আর উত্তুরে হাওয়ার যুগলবন্দিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জনজীবন। হাড়কাঁপানো এই ঠান্ডায় জনমনে এখন একটাই প্রশ্ন–শীতের এই তীব্রতা কি আরও বাড়বে?
কুয়াশার দাপটে সূর্যমামা মাঝেমধ্যে উঁকি দিলেও, সেই রোদে নেই কোনো উত্তাপ। কনকনে এই ঠান্ডার কামড়ে স্থবির হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বিশেষ করে উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে শীতের তীব্রতা এখন চরমে।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে, যেখানে তাপমাত্রার পারদ নেমে এসেছে ৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। উত্তরের হিমেল বাতাসের প্রভাবে ঠান্ডার এই তীব্রতা দেশের অন্যান্য জেলাকেও কাঁপিয়ে দিচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা তেমন না থাকলেও ঠান্ডার এই অনুভূতি আপাতত কমছে না।
আগামী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মধ্যরাত থেকে পরদিন দুপুর পর্যন্ত সারা দেশ মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকবে। এই ঘন কুয়াশা যেন অদৃশ্য এক দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছে যাতায়াত ব্যবস্থায়। এর ফলে দেশের আকাশপথে বিমান চলাচল যেমন বিঘ্নিত হচ্ছে, তেমনি নৌপথের ফেরি চলাচল এবং সড়কপথের পরিবহন ব্যবস্থাও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। হেডলাইট জ্বালিয়েও কয়েক হাত দূরের পথ দেখা দুষ্কর হয়ে পড়েছে চালকদের জন্য।
আবহাওয়াবিদদের মতে, কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে আসায় শীতের অনুভূতি আরও প্রকট হচ্ছে। আগামী কয়েক দিন রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। ফলে কনকনে এই ঠান্ডা থেকে শিগগিরই মুক্তি মিলছে না সাধারণ মানুষের। ফুটপাত থেকে শুরু করে বস্তি এলাকা, সর্বত্রই মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:১৩:৫৫ ৬ বার পঠিত